মৃত ব্যক্তির টাকা কে পাবেন ║ নমিনী ছারাও কিভাবে উত্তরাধিকারী টাকা পেতে পারে - Joy D. Biswas ✌✌™

Joy D. Biswas ✌✌™

Joy D. Biswas ✌✌™ Personal Webpage

Joy D. Biswas ✌✌™

Post Top Ad

Friday, October 11, 2019

মৃত ব্যক্তির টাকা কে পাবেন ║ নমিনী ছারাও কিভাবে উত্তরাধিকারী টাকা পেতে পারে

কোনো ব্যক্তি যদি কোনো ব্যাংকে বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে টাকা রেখে মারা যান, তাহলে পরবর্তী সময়ে এ টাকার মালিক কে হবেন? মৃত ব্যক্তির রেখে যাওয়া টাকা পয়সা কীভাবে বণ্টন হবে, কারা পাবেন, কীভাবে পাবেন -এ বিষয় অনেকের কাছেই অজানা। আবার অনেক সময় সঠিক তথ্য না জানার কারণে রেখে যাওয়া টাকা পয়সা থেকে বঞ্চিত হতে হয় প্রকৃত হকদারকে।

কে বা কারা পাবেন মৃত ব্যক্তির টাকা?
মৃত ব্যক্তি যদি মুসলিম হন, তাহলে মুসলিম আইন অনুযায়ী তাঁর রেখে যাওয়া টাকার ভাগ হবে। মৃত ব্যক্তির উত্তরাধিকারীরা এ টাকার মালিক হবেন। মুসলিম আইনে যেভাবে সম্পত্তি ভাগ হওয়ার কথা বলা আছে, ঠিক সেভাবেই এ রেখে যাওয়া টাকার ভাগ হবে। কোনো উত্তরাধিকারীকে অন্য উত্তরাধিকারীরা বঞ্চিত করতে পারবেন না। আইন অনুযায়ী এ টাকাও একটি সম্পত্তি। এর ভাগ-বাঁটোয়ারাও হবে জমি জমার মতো। তাই এ বিষয়ে কোনো প্রকার দ্বিধা দ্বন্দ্ব থাকা উচিত নয়। অন্য ধর্মাবলম্বীদের ক্ষেত্রেও নিজ নিজ পারিবারিক আইন অনুযায়ী টাকার ভাগ হবে।


যদি নমিনি করা থাকে তাহলে কে পাবে?
হিসাবধারী যদি কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্টের কোনো নমিনি করে দিয়ে থাকেন, তাহলে সেই নমিনি ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। এত দিন ধরা হতো, মৃত ব্যক্তির মনোনীত নমিনিই টাকার মালিক হবেন। কিন্তু ৩ এপ্রিল ২০১৬ হাইকোর্ট বিভাগ এ বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। সঞ্চয়পত্রের অ্যাকাউন্টধারী মারা গেলে ওই অ্যাকাউন্টের টাকা নমিনির পরিবর্তে হিসাবধারীর উত্তরাধিকারী পাবেন বলে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বিভাগের বেঞ্চ।
এ-সংক্রান্ত মামলার আইনজীবীদের বক্তব্য মতে, হাইকোর্ট বিভাগের এ রায়ের ফলে সঞ্চয়ের টাকা নমিনি মাত্র উত্তোলন করতে পারবেন। তবে ওই টাকার মালিক নমিনি হবেন না। মালিক হবেন অ্যাকাউন্টধারীর উত্তরাধিকারী। আইনের ব্যাখ্যা অনুসারে যদি সঞ্চয়ের টাকার ক্ষেত্রে এ সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকে, তাহলে অন্যান্য রেখে যাওয়া টাকার ক্ষেত্রেও এ সিদ্ধান্ত প্রযোজ্য হবে।
লাগতে পারে উত্তরাধিকার সনদ
অনেক সময় নমিনি করা থাকলেও কোনো কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান টাকা উত্তোলনের জন্য আদালত থেকে জারি করা উত্তরাধিকার সনদ চাইতে পারে। আর যদি নমিনি কাউকে করা না থাকে, তাহলে এ সনদ নেওয়া বাধ্যতামূলক হয়ে দাঁড়ায়। মৃত ব্যক্তির হিসাবের টাকা তোলার জন্য জেলা জজ আদালতে বা জেলা জজের মনোনীত অন্য কোনো আদালত থেকে নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে এ সনদ তুলতে হয়।
ঢাকায় তৃতীয় যুগ্ম জেলা জজ আদালতকে এ সনদসংক্রান্ত বিষয় নিষ্পত্তির এখতিয়ার দেওয়া হয়েছে। মৃত ব্যক্তির বৈধ উত্তরাধিকারীরা প্রত্যেকে কিংবা তাঁদের পক্ষে যিনি টাকা তুলবেন, তাঁকে আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আরজি দাখিল করতে হবে। আবেদনের সঙ্গে হলফনামা দিতে হবে, যাতে তিনি মৃত ব্যক্তির সম্পর্কে কী হন, মৃত ব্যক্তির এ টাকা কাউকে দান বা উইল করে যাননি, উইলের জন্য কোনো প্রবেট বা লেটার অব অ্যাডমিনিস্ট্রেশন দরখাস্ত দাখিল করে যাননি এবং তাঁকে অন্য উত্তরাধিকারীরা টাকা তোলার ক্ষমতা দান করেছেন মর্মে উল্লেখ থাকতে হবে।
এর সঙ্গে মৃত ব্যক্তির হিসাব বিবরণী, মৃত সনদপত্র ও সিটি করপোরেশন বা পৌরসভা থেকে ওয়ারিশান সনদ দিতে হবে। আরজিতে মৃত ব্যক্তির টাকার হিসাবের বিবরণ তফসিল আকারে দিতে হবে। টাকার পরিমাণ ২০ হাজারের নিচে হলে কোর্ট ফি লাগে না। এর ওপর হলে কোর্ট ফি দিতে হবে।
সুত্রঃ সংগৃহীত 

If You Have Any Question Or Comment Please Write A Comment, I Will Answer It As Soon As Possible....Thank You....

যদি আপনার কোনও প্রশ্ন বা মন্তব্য থাকে তবে মন্তব্য লিখুন, আমি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এর উত্তর দেবো.......... আপনাকে ধন্যবাদ ।।

No comments:

Post a Comment

Post Bottom Ad